কলাবাগানে স্ত্রী হত্যার পর মরদেহ ফেলে পালালেন স্বামী

গাইবান্ধা ( জেলা ) প্রতিনিধি
গাইবান্ধা ( জেলা ) প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৬:০৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী শিউলী বেগমকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশের কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত স্বামী। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহতের মরদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে শিউলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিউলী ছিলেন ফরিদের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং বোগদহ সদর কলোনি এলাকার শরীফ মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ৮ বছরের সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই শিউলীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া হলে একপর্যায়ে ফরিদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিউলীকে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বাড়ির পাশেই কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। প্রতিবেশীরা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিউলীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহতের বাবা শরীফ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবেই মেয়েকে হত্যা করেছে ফরিদ। তিনি বলেন, “বিয়ের পর থেকেই ফরিদ আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। এবার সে গলা কেটে হত্যা করেছে। আমরা দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, ফরিদের প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। নিহত শিউলী ছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের শরীর ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার রশিদুল বারী। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দীনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।