ওসির ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিবেদন ঘিরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ( জেলা ) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ( জেলা ) প্রতিনিধি
১৩ আগস্ট, ২০২৫ এ ৭:১৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার আখাউড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তবে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের দাবি, ওসির ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিশোধ হিসেবেই এ মামলা করা হয়েছে।

মামলার আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে দৈনিক যুগান্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার ও আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি এবং আরটিভির আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও আখাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের।

গত ৪ আগস্ট আরটিভি অনলাইন ও ৭ আগস্ট দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ওসির নেতৃত্বে ঘুষ লেনদেন, যাত্রী হয়রানি ও অবৈধ পারাপারের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে এসআই আব্দুর রহিম ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনের ঘুষ গ্রহণসহ একটি প্রভাবশালী চক্রের দৈনিক দেড় থেকে দুই লাখ টাকা অবৈধ আয় করার তথ্যও উঠে আসে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেডিকেল ভিসায় ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করা হচ্ছে এবং টাকা না দিলে সীমান্ত পারাপারে নানা অজুহাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকরা দাবি করেন, এসব তথ্য যাত্রীদের অভিযোগ ও গোপন সূত্র থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতেই প্রকাশ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ফজলে রাব্বি বলেন, “আমরা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ করেছি। এটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা।” একই অভিযোগ তোলেন সাদ্দাম হোসেন, যিনি জানান, “মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রুদ্ধ করা যাবে না। সঠিক তদন্ত হলে ওসির দুর্নীতি প্রমাণিত হবে।”

আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন লিটন এ ঘটনাকে সাংবাদিকদের হয়রানির চেষ্টার নজির আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তবে আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন বলেন, “পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে, বর্তমানে তদন্ত চলছে।”