প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে কার্যকর ভূমিকার আহ্বান

রাজনীতি ডেস্ক
রাজনীতি ডেস্ক
৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ এ ৪:২০ এএম
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল পরিদর্শন করছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল পরিদর্শন করছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের একটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে স্কুলটি ঘুরে তিনি শিশুদের শিক্ষাদান, পরিচর্যার পরিবেশ ও সামগ্রিক কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটান।

পরিদর্শনকালে স্কুলের পরিচালক, শিক্ষক ও অভিভাবকদের বক্তব্য, প্রয়োজন ও চ্যালেঞ্জগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন জামায়াত আমির। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের নিষ্পাপ হাসি, শেখার আগ্রহ এবং অসীম সম্ভাবনা তাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, পরিচালক ও অভিভাবকদের ধৈর্য, ত্যাগ ও মমত্ববোধকে তিনি সমাজের জন্য অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আমি তাদের প্রতিবন্ধী বলবো না। আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস লেখা থাকলেও তারা ‘স্পেশাল নিড বেবিজ’। সমাজকে তাদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।” একজন অভিভাবকের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের ভুল দৃষ্টিভঙ্গি সংশোধন করা জরুরি। অভিভাবকদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতা সমাজের নৈতিক দায়িত্ব।

জামায়াত আমির আরও বলেন, একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে স্পেশাল নিড শিশুদের জন্য আলাদা সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তার সব সুবিধা সরকার বহন করে। বাংলাদেশেও একই ধরনের ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি শিশুর সম্ভাবনা অনুযায়ী তাদের এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

তিনি সব নাগরিককে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল ও সহযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং মানবিক সমাজ নির্মাণে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরিদর্শনে তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের আহমেদ এবং খিলক্ষেত থানা আমির হাসনাইন আহমেদ।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে জামায়াত আমির দেশের সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের পরিবার, শিক্ষক, পরিচর্যাকারী ও পুনর্বাসনকর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও সহমর্মিতা জানান। তিনি বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, চলাচল, কর্মসংস্থান, পুনর্বাসন ও নিরাপত্তাসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ইনক্লুসিভ শিক্ষা, অ্যাক্সেসিবল অবকাঠামো, সহায়ক প্রযুক্তি এবং পরিবারভিত্তিক সাপোর্ট সিস্টেম আরও জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।